নাসা কি? নাসার ইতিহাস সম্পর্কে জানুন

নাসা কি – বন্ধুরা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো মহাকাশ ও বিমানচালনাবিদ্যা গবেষণা করার কাজ সম্পর্কে। আপনাদের মধ্যে অনেকে হয়তো Nasa এর নাম এখনো শুনেনি।

যারা আসলে জানেন না NASA কি এবং এরা কি নিয়ে কাজ করে এই সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ, আজকে আমি বলবো নাসা কি এবং নাসার ইতিহাস সম্পর্কে।

নাসা কি? (What is nasa in bangla)

NASA হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্বাধীন সংস্থা, যারা মহাকাশ এবং বিমানচালনাবিদ্যা নিয়ে  গবেষণা করে। ১৯৫৮ সালে ন্যাশনাল অ্যাডভাইসরি কমিটি ফর অ্যারোনটিক্স (নাকা) এর পরিবর্তে নতুন করে একটি মহাকাশ ও বিমানচালনাবিদ্যা গবেষণার তৈরি করা হয়।

যার নাম দেওয়া হয়েছিলো নাসা। এটা তৈরি করার পরে আশা করা যাচ্ছিলো, এটা মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কিত গবেষণার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তবে, এটা ঠিক যে NASA প্রতিষ্ঠার হওয়ার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ মহাকাশ অনুসন্ধান করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বে ভূমিকা পালন করেছে নাসা।

এই সফল নেতৃত্বের মধ্যে অন্যতম হলো, অ্যাপোলো মুন ল্যান্ডিং মিশন, স্পেস শাটল মিশন এবং স্কাইল্যাব স্পেস স্টেশন মিশন হলো উল্লেখ যোগ্য। তবে, নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের উন্নয়নে সহযোগিতা করছে এবং ওরিয়ন স্পেসক্রাফট, স্পেস লঞ্চ সিস্টেমের বিকাশে কাজ করছে।

এছাড়া এজেন্সি লঞ্চ সার্ভিস প্রোগ্রামের জন্য NASA ও অনেক কাজ করে যাচ্ছে। নাসা আর্থ অবসার্ভিং সিস্টেমের মাধ্যমে পৃথিবীকে আরো ভালো করে বুঝার চেষ্টা করছে।

NASA যে সকল বিষয় গুলো নিয়ে গবেষণা করছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, নিউ হরাইজনসের মতো উন্নত রোবোটিক মহাকাশযানের মাধ্যমে সৌরজগৎ জুড়ে প্রাণীদেহ অনুসন্ধান করা এবং হেলিওফিজিক্সের অগ্রগতি করা।

নাসা অর্থ কি? | নাসা এর পূর্ণরূপ কি | নাসার ফুল ফর্ম কি

নাসা হলো একটি ইংরেজি শব্দ। নাসা অর্থ হলো, ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। আর ইংরেজিতে NASA 

শব্দের অর্থ হলো, National Aeronautics and Space Administration. এই সংস্থাটি মহাকাশ গবেষণার কাজ করে।

নাসার কাজ কি?

আমেরিকার সিভিল স্পেস প্রোগ্রাম ন্যাশনাল অ্যারোনট্রিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন যা মহাকাশ অনুসন্ধান করার নেতৃত্ব দিচ্ছে সারা বিশ্ব জুড়ে।

আমেরিকায় এই এজেন্সির ২০ টি কেন্দ্র রয়েছে এবং  মহাকাশে এই সংস্থার একটি পরীক্ষাগার রয়েছে। এই সংস্থার প্রধান কাজ হলো, পৃথিবী, সূর্য, জলবায়ু, সৌরজগত সহ সারা বিশ্ব অধ্যয়ন করা।

বিমানচালনা বিদ্যা বা এরোনোট্রিক্স ছাড়াও এই সংস্থা অনুসন্ধান, গবেষণা, বৈজ্ঞানিক পরিক্ষা নিরীক্ষা আরো অন্যান্য কাজের উন্নতি সাধন করার উদ্দেশ্যে কাজ করে।

পৃথিবীর জনজীবনের উপকার করার জন্য এই সংস্থা মহাকাশ প্রযুক্তির বিকাশের জন্য অর্থায়নের ব্যবস্থা করে যা ভবিষ্যতে পৃথিবীর জনজীবকে উন্নয়ন করবে।

বর্তমানে নাসার এজেন্সিতে প্রায় ১৮ হাজারের মতো কর্মচারী কাজ করে। নাসা মানবতার কল্যাণ সাধনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

নাসা কবে তৈরি হয়?

আমেরিকা সরকারের অধিনে ১৯৫৮ সালের ১লা অক্টোবর নাসার পথ চলা শুরু হয়েছিলো। এই সংস্থা বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দ্বায়িত্বে রয়েছে। যা মহাকাশ গবেষণা ও বিমান চলাচলের সাথে সরাসরি সংযুক্ত রয়েছে।

নাসার ইতিহাস সম্পর্কে জানুন

১৯৪৫ সালে ন্যাশনাল এডভাইসরি কমিটি ফর আরোনটিক্স একটি রকেট বিমান নিয়ে পরিক্ষা শুরু করেছিলেন। ঔ সময় তারা সুপার সনিক বেল  এক্স -১ নিয়ে পরিক্ষা চালাচ্ছিলো।

এর পরে ১৯৫০ দশকের দিকে জিওগ্রাফিকাল বর্ষে এই কমিটির উপর কৃত্রিম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করার গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব এসে পড়ে। তখন তারা এই প্রজেক্টটির নাম দিলেন ভ্যানগার্ড।

What is nasa in bangla

১৯৫৭ সালে সোভিয়েত স্পেস প্রোগ্রামের প্রথম কৃত্রিম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র একটি কৃত্রিম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করার জন্য খুবই ব্যাস্ত হয়ে পড়েন।

এর পরে ইউ এস কংগ্রেস এই ব্যাপারে খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। তখন সেই সময়ের রাষ্ট্রপতি ডিওয়াট ডি. আইজেনহাওয়ার এবং তার উপদেষ্টা বৃন্দ এই বিষয় নিয়ে আলোচনার বসেন।

১৯৫৮ সালে এই কমিটির প্রধান হিউজ ড্রাইডেন  এ ন্যাশনাল রিসার্চ পোগ্রাম ফর স্পেস টেকনলজি নামে একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন।

নাসা কোন দেশের সংস্থা?

নাসা (NASA) হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্বাধীন সংস্থা, যারা মহাকাশ এবং বিমানচালনাবিদ্যা নিয়ে  গবেষণা করে।

নাসার বর্তমান প্রধান কে | নাসার বর্তমান চেয়ারম্যান কে?

বর্তমানে নাসার প্রধান হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের  স্টির্ভ জুর্কজিক জো বাইডেনের অধীনে নাসার প্রধান সভাপতি।

নাসা এর সদর দপ্তর কোথায় | নাসা কোথায় অবস্থিত

নাসার সদর দপ্তর হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে (Washington DC, United Stated).

নাসার বিজ্ঞানীদের বেতন কত

নাসার যে সকল বিজ্ঞানীরা কাজ করে তাদের বেতন ৬৬ হাজার ডলার থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ডলার পর্যন্ত। এই সব বিজ্ঞানীদের মধ্যে যারা দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পর্ন বিজ্ঞানী রয়েছে তাদের বেতন স্কেল আরো বেশি।

নাসার ওয়েবসাইট এর নাম

প্রত্যেকটি সংস্থার একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থাকে। এক্ষেত্রে নাসার নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে তাদের সকল তথ্য গুলো আপডেট করা হয়।

নাসার ওয়েবসাইট – https://www.nasa.gov

শেষ কথা

তাহালে, বন্ধুরা আজকে আমরা জানলাম নাসা কি (what is nasa in bangla) এবং এর ইতিহাস এর ব্যাপারে। আশাকরি, NASA সম্পর্কে আপনারা কিছু জানতে পারছেন।

Leave a Comment

Share via
Copy link
Powered by Social Snap