স্মার্টফোন কি? কে আবিষ্কার করেন?

স্মার্টফোন কি: আজকের আলোচনার বিষয় Smartphone. আমরা স্মার্টফোন ব্যবহার করলেও অনেক smartphone কি সেটার সম্পর্কে বিস্তারিত জানি না। তাই আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

বর্তমান স্মার্টফোন গুলো আমাদের প্রতিদিনের সঙ্গি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমানোর আগে পর্যন্ত নানা কাজকর্মে আমরা এটা ব্যবহার করি।

সকালে উঠে দেশ বিদেশের সব ধরনের খবর নেওয়া থেকে শুরু করে রাতে ঘুমানোর আগে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে করতে ঘুমিয়ে পড়া। তাছাড়া সারাদিন তথ্য আদান-প্রদান করা, অন্যদের সাথে যোগাযোগ করা তো আছেই।

তাই, এক কথায় বলা যায় স্মার্টফোন দৈন্দিনদিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। বর্তমান টেকনোলজির উপর ভিত্তি করে দিনের পর দিন এর ব্যবহার প্রচুর পরিমানে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শিশু থেকে শুরু করে বয়স মানুষরা সবাই স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এর ব্যবহার বর্তমানে এতোটাই প্রভাবিত করেছে আপনি একটা দিনও স্মার্টফোন ছাড়া থাকতে পারবেন না।

স্মার্টফোন কি? (What is Smartphone in bengali)

স্মার্টফোন হলো হাতের মোবাইল কম্পিউটিং যন্ত্র। ফিচার ফোনের সাথে তাদের পার্থক্য হলো তুলনামূলক বেশি শক্তিশালী হার্ডওয়্যার ক্ষমতা, বিস্তৃত মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। 

মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম গুলোর সুবিধা হলো ফোন কল, টেক্সবার্তা, সফটওয়্যার, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, মাল্টিমিডিয়া যেমন – গেমিং করা, ক্যামেরা সুবিধা ইত্যাদি প্রদান করে।

স্মার্টফোনে অনেক বেশি সেন্সর রয়েছে এবং তারবিহীন যোগাযোগ সমার্থন করে এই যন্ত্র গুলো। প্রথম দিকে স্মার্টফোন গুলোর উদ্দেশ্য ছিলো এন্টারপ্রাইজ মার্কেট, পার্সোনাল ডিজিটাল এসিসট্যান্টের সুবিধা গুলো দেওয়া।

নোকিয়া, ব্ল্যাকবেরি, উইন্ডোজ ফোন গুলো ২০০০ এ জনপ্রিয় বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এরপর ২০০৭ সালে আইফোন বাজারে মুক্তির পরে স্মার্টফোন গুলোর মধ্যে বড় আকারের পরিবর্তন আসতে শুরু করে।

২০১২ সালে জানা যায় সারা বিশ্বে ১০০কোটি স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে। ২০১৩ সালে স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তার ফিচার ফোনের মার্কেট ছোট হতে থাকে।

স্মার্টফোন কে আবিষ্কার করেন?

১৯৯৪ সালে আইবিএম আর মিতাসুবিসি ইলেকট্রনিক কর্পোরেশন এর যৌথ উদ্যোগ তৈরি করা হয় বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন। এই ফোনের নাম দেওয়া হয় সিমন।

সিমন হলো বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন যার কোনো কীপ্যাড ছিলো না। বর্তমানে আমরা বাজারে যে স্মার্টফোন গুলো দেখি টার্চ প্যাডের মতো আঙ্গুলের ছুঁইয়ে কল করা যেতো।

এই ফোনটির দৈর্ঘ্য ছিলো ৮ ইঞ্চি, চওড়া প্রস্থ ছিলো ২.৫ ইঞ্চি, পুরু ছিলো ১.৫ ইঞ্চি এবং ফোনটির ওজন ছিলো ৫০০ গ্রাম। এর মেমচছিলো ১ এমবি (MB) এবং ব্যাটারি ফুল চার্জে ১ ঘন্টা ব্যাকআপ দিতো।

স্মার্টফোনের জনক কে?

মোবাইল ফোনের জনক হলো মার্টিক কুপার। কিন্ত স্মার্টফোনের জনক কে সেটার এখনো প্রকাশ করা হয়নি। নাম প্রকাশ করার পরে এখানে আপডেট দেওয়া হবে।

বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোনের নাম কি?

বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোনের নাম সিমন। ১৯৯৪ সালে আইবিএম আর মিতাসুবিসি ইলেকট্রনিক কর্পোরেশন এর যৌথ উদ্যোগ এটা তৈরি করা হয়। 

স্মার্টফোনের ব্যবহার | স্মার্টফোন এর সুবিধা

১. স্মার্টফোনের ব্যবহার ও সুবিধার কথা বলতে গেলে প্রথমে বলতে হয় এটা যোগাযোগ করার দারুণ একটি মাধ্যম। এর মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো দেশে সহজে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।

২. আমরা সবাই সুন্দর সুন্দর ছবি তোলার জন্য এবং ভিডিও রেকর্ড করার জন্য স্মার্টফোন ব্যবহার করি। আধুনিক স্মার্টফোন গুলোতে উন্নত মানের ক্যামেরা ব্যবহার করার ফলে মানুষ ডিজিটাল ক্যামেরার কথা ভুলে গেছে।

৩. Smartphone গুলোতে জিপিএস (GPS) সুবিধা থাকায় সহজে আমরা গুগল ম্যাপের মাধ্যমে রাস্তা, হোটেল, দোকান, জায়গা খুঁজে বের করতে পারি।

৪. মনোরঞ্জন এর ক্ষেত্রে আমরা সবাই স্মার্টফোন ব্যবহার করি। বর্তমানের স্মার্ট ফোন গুলোতে ৫ ইঞ্চি থেকে ৬ ইঞ্চি ফুল এইচডি ডিসপ্লে ব্যবহার করাই ভিডিও বা সিনেমা দেখে মজা দেওয়া যায়।

৫. এখনকার স্মার্ট ফোন গুলো কম্পিউটারের মতো অনেক বেশি শক্তিশালী। আপনি কম্পিউটারের কাজ গুলো স্মার্টফোনের মাধ্যমে করতে পারবেন। যেমন – ভিডিও দেখা, মেসেজ সেন্ড করা, গান শুনা, ইন্টারনেট ব্যবহার সবকিছু একসাথে করতে পারবেন।

৬. আগের দিনে কম্পিউটার এবং ল্যাপটপে শুধুমাত্র হাই গ্রাফিক্স গেম গুলো খেলা যেতো। কিন্ত, বর্তমান স্মার্টফোন গুলো এতটাই শক্তিশালী যে এর মাধ্যমে দারুণ সব গেম গুলো খেলতে পারবেন।

স্মার্টফোনের ব্যবহার | স্মার্টফোন এর সুবিধা

৭. আগে ইন্টারনেটের কথা বললে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ছাড়া অন্য কিছু চিন্তা করা সম্ভব ছিলো না। তবে, বর্তমানে স্মার্টফোনের মাধ্যমে আপনি কম্পিউটারের মতো ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।

৮. আজকের smartphone গুলো অনলাইন টিভি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে আপনি দেশ বিদেশের সব গুলো চ্যানেল লাইভ দেখতে পাবেন। মেবাইলের ডিসপ্লে অনেক বড় হওয়ায় টিভি দেখে অনেক মজা পাবেন।

৯. Smartphone ব্যবহার করা অনেক সাধারণ জিনিস অনেক সময় আপনার অনেক কাজে আসতে পারে। আগে রাতে চলাচল করার জন্য আপনাকে টর্চলাইট ব্যবহার করতে হতো।

তবে, বর্তমান মোবাইল গুলোতে একটি টর্চলাইট বা ফ্লাশলাইট থাকার কারণে খুব সহজে রাতে চলাচল করতে পারবেন।

১০. যখন কথা আসে অনলাইন ইনকাম করার তখন স্মার্টফোন ব্যবহার অবশই হয়েছে। বর্তমানে অনেকে স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে online income করছে।

মোবাইলে টাকা ইনকাম করার সেটা উপায় গুলো হলো, ক্যাপচা এন্টির কাজ, ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম, ব্লগিং করে টাকা ইনকাম সহ আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন।

১১. আপনার কাছে যদি স্মার্টফোন থাকে তাহলে আপনি কষ্ট করে ব্যাংকে না গিয়ে ঘরে বসে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা আদান প্রদান করতে পারবেন। এছাড়াও বিদ্যুৎ বিল, পানি বিল, গ্যাস বিল পেমেন্ট পারবেন।

স্মার্টফোনের দাম

স্মার্টফোনের দামের কথা বলতে গেলে বর্তমান স্মার্টফোন গুলো মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। আপনার বাজেট ও চাহিদার মধ্যে আপনারা ফোন গুলো কিনতে পারবেন।

আপনারা যদি সকল প্রকার স্মার্টফোনের দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে mobilemaya এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

শেষ কথা

আজকে আমরা জানলাম স্মার্টফোন কি (what is smartphone in bangla). smartphones সম্পর্কে যদি কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন এবং আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।

Leave a Comment

Share via
Copy link
Powered by Social Snap