অপারেটিং সিস্টেম কি? কত প্রকার ও কি কি?

আপনি কি জানেন অপারেটিং সিস্টেম কি বা অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে? আপনি যদি কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, তাহালে অবশ্যই Operating system (OS) শব্দটির নাম শুনে থাকবেন।

প্রত্যেকটি ইল্কেট্রনিক ডিভাইস যেমন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন এ কাজ করার জন্য একটি অপারেটিং সিস্টেম প্রয়োজন হয়। সম্পর্ন ইল্কেট্রনিক ডিভাইস বা কম্পিউটার সিস্টেম এর বিভিন্ন সফটওয়্যার প্রোগ্রাম এবং হ্যাডওয়্যার পরিচারনা করার জন্য একটি Operating system প্রয়োজন।

আপনি যদি নিজের বাড়িতে বা অফিসে কম্পিউটার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করেন, তাহালে অবশ্যই Microsoft Windows শব্দটির নাম শুনছেন?

আসলে, Microsoft Windows হলো একটি অপারেটিং সিস্টেম, যেটা সম্পর্ন কম্পিউটার সিস্টেমকে ইউজার এর নির্দেশনা অনুসারে কাজ করে। মানে, আমাদের দেওয়া প্রতিটি নির্দেশ কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন ডিভাইস গুলোকে বুঝিয়ে দেয়।

যেভাবে আমাদের একটি মন রয়েছে, যেটার সাহায্যে আমরা বিভিন্ন করমের কাজ গুলো পরিচালনা করি। ঠিক সেই ভাবে অপারেটিং সিস্টেমকে কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন এর মন বুঝে নিতে পারে।

কম্পিউটার এর ক্ষেত্রে অনেক ধরনের আলদা আলদা অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে। যেমন, Windows 7, Windows 8.1, Windows 10, Linux, Mac OS, Ubuntu.

আবার, স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের আলদা আলদা operating system রয়েছে। যেমন, Android lollipop, Android KitKat, Android Oreo.

এই সকল operating system গুলো দেখতে এবং ব্যবহার করতে আলদা আলদা হলেও এদের কাজ গুলো সব একই। এবং এগুলো আপনার কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন গুলো পরিচারনা করে।

আপনাদের প্রয়োজনীয় ব্যবহার, চাহিদা এবং সুবিধা হিসাবে এই OS গুলোকে আপনারা যেকেউ ব্যবহার করতে পারবেন। তাহালে, চলুন নিচে থেকে আমরা জেনে আসি, অপারেটিং সিস্টেম কি বা অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে এবং অপারেটিং সিস্টেম এর উদাহরন এর ব্যাপারে জেনে আসি।

অপারেটিং সিস্টেম কি? (What is operating system)

আমরা অপারেটিং সিস্টেমকে system software বলতে পারি। এটার সাধারণত শর্ট নাম হলো OS. operating system হলো একটি মূখ্য system software, যেটা ডিভাইসের ইউজা এবং কম্পিউটার হ্যাডওয়্যার ও সফটওয়্যার প্রোগ্রাম গুলোর মাঝে ইন্টারফেস হিসাবে কাজ করে।

ইউজারের নির্দেশ হিসাবে কম্পিউটারের প্রতিটি সফটওয়্যার প্রোগ্রাম পরিচালনা করাটা হলো এর কাজ। আপনার কম্পিউটারে বিভিন্ন কাজ করা যেমন, বিভিন্ন সফটওয়্যার চালানো বা এপ্লিকেশন চালানো, গান শোনা, গেম খেলা এই সকল কাজ গুলো করা হয় operating system এর দ্বারা।

এক কথায় বলা যায়, OS আপনার নির্দেশ অনুসারে সম্পর্ন কম্পিউটার পরিচালনা করে। মনে রাখেন, এই OS ছাড়া আপনি কখনো কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন চালাতে পারবেন না।

OS হলো এমন একটি সফটওয়্যার যার মাধ্যমে আমরা নিজের কম্পিউটারকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এজন্য আপনি যখন নতুন একটি কম্পিউটার কিনবেন তখন প্রথমে আপনাকে Windows OS ইনস্টল করতে হবে। কারণ, OS ছাড়া কখনো কম্পিউটার চালু বা ব্যবহার করতে পারবেন না।

শুধু Windows বলে কথা নয়, যেকোনো কম্পিউটার ডিভাইস পরিচালনা, ব্যবহার এবং নিয়ন্ত্রণ জন্য বিভিন্ন রকমের আলদা আলদা OS রয়েছে। আশাকরি, সহজে বুঝতে পারছেন অপারেটিং সিস্টেম কি বা অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে

অপারেটিং সিস্টেম কত প্রকার ও কি কি?

দিনের পর দিন টেকনোলোজি অনেক উন্নত হচ্ছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক ধরনের অপারেটিং সিস্টেম এর প্রয়োজন পড়ছে। সেক্ষেত্র অনেক ধরনের অপারেটিং সিস্টেমের উন্নয়ন করা হচ্ছে। তাই অনেক ধরনের অপারেটিং সিস্টেম আমাদের কাছে রয়েছে।

তাহালে, চলুন নিচে থেকে কিছু অপারেটিং সিস্টেমের সম্পর্কে জেনে আসি।

১. Simple batch system

আগের সময়ের বা পুরানো দিনের সমস্যার সমাধান করার জন্য এই Simple batch operation system গুলোর ব্যবহার করা হতো। এই সিস্টেম ব্যবহার করে একজন কম্পিউটার ইউজার কখনোকম্পিউটারের সাথে interact করতে পারবেন না।

তাই, সাধারণ ইনপুট ডিভাইস হিসাবে card readers এবং tape drivers ব্যবহার করা হতে।

২. Multi programming batch system

এই সিস্টমের মাধ্যমে এ মেমরি (memory) থেকে যেকোনো একটি কাজ নিয়ে সেটাকে এক্সিকিউট করা হয়। এই ধরনের সিস্টেম গুলো কখনো CPU কোনো কাজ ছাড়া থাকে না। সব সময় CPU কিছু না কিছু প্রোসেস করতে থাকে।

৩. Network operation system

এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেম গুলো শুধুমাত্র কম্পিউটারে ব্যবহার করা হয়, যেগুলো একটি   network এর এর সাথে যুক্ত থাকে। NOS আসলে এমন একটি সফটওয়্যার, যার মাধ্যমে multi computer গুলো একাত্রে communicate করানো ও file sharing করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

এই ধরনের ধরনের অপারেটিং সিস্টেম গুলোর নাম কিছু নাম নিচে উল্লেখ করা হলো – Microsoft window server 2003, Microsoft window server 2008, Unix, Linux এছাড়া আরো ইত্যাদি।

৪. Multiprocessor Systems

এই operation system এ দুইটি বা তার থেকে বেশি CPU ব্যবহার করা হয় এক একটি কম্পিউটার সিস্টেম এর জন্য। তাছাড়া, Multiprocessor Systems অনেক গুলো প্রসেসর কেবল মাত্র একটি common physical memory ব্যবহার করা হয়।

Multiprocessor Systems ব্যবহার করা কম্পিউটার গুলোর ক্ষমতা, স্পিড অনেক উন্নত মানের হয়।

৫. Real time operating systems

এই অপারেটিং সিস্টেম গুলো সব সময় বস থেকে উন্নত হয়। এটা সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। যথা- Hard real time operation system এবং soft real time OS.

৬. Distributed operation system

এই ধরনের operation system গুলো বিশেষ ভাবে communication এর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। Distributed operation system সাধারণত দুই প্রকার হতে পারে। যথা-

  • Client server system
  • Peer to peer system

৭. Client operation system

এই Client operation system গুলো প্রচুর ভাবে ব্যবহার করা computer Desktop এবং portable device গুলোতে। যেমন- স্মার্টফোন, ছোট কম্পিউটার ডিভাইস এই ধরনের গুলিতে OS ব্যবহার করা হয়।

OS কম্পিউটারের বিভিন্ন উপাদানন গুলোকে পরিচালনা করে। প্রতিটি আলদা আলদা কম্পিউটার ডিভাইস এর জন্য একটি নির্দিষ্ট operation system থাকে।

Client operation system গুলো অনেক কম খরচে multitasking এর জন্য শক্তি প্রদন করে। এর মাধ্যমে এক সাথে একাধিক কাজ করা সম্ভব। Client operation system এর উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো,

  • Android
  • Microsoft Windows 
  • Mac OS
  • Linux

বিভিন্ন বিষয়ের উপর লক্ষ্য করে এই OS গুলোকে তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে client OS হিসাবে Microsoft Windows সব থেকে বেশি পরিমানে ব্যবহার করা হচ্ছে।

অপারেটিং সিস্টেম এর প্রধান কি?

কম্পিউটার বা ল্যাপটপ স্টার্ট (start) করার সাথে সাথে অপারেটিং সিস্টেমের কাজ শুরু হয়ে যায়। কম্পিউটার চালানোর সাথে সাথে নানা ধরনের সফটওয়্যার চালু হয়ে যায়, বা আমরা নিজেরা কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করি।

কম্পিউটারে ব্যবহার হওয়া বিভিন্ন সফটওয়্যার বিভিন্ন হার্ডওয়্যার অবশ্যই ব্যবহার করতে হয়। কারণ, হার্ডওয়্যার ছাড়া কম্পিউটার থেকে প্রয়োজনীয় আউটপুট (Output) পাবেন না।

অপারেটিং সিস্টেম হলো সেই অংশ যার মাধ্যমে সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার নিজেদের মধ্যে পরস্পর সংযোগ হয়ে কার্যকলাপ গুলো করতে পারে। আমরা সবাই জানি, একটি সফটওয়্যার চলার জন্য অবশ্যই হার্ডওয়্যার প্রয়োজন।

operation system হলো এমন একটি সিস্টেম যার মাধ্যমে সফটওয়্যার বা এপ্লিকেশন এবং হার্ডওয়্যার এর মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি করা হয়। যেমন- Software >> operation system >> hardware.

অপারেটিং সিস্টেম এর উদাহরণ

আমি নিচে এমন কিছু অপারেটিং সিস্টমের উদাহরণ দিচ্ছি যেগুলো সবথেকে বেশি পরিমানে ব্যবহার করা হয়।

Microsoft Windows – OS অনেক জনপ্রিয় এটা প্রায় ৭০% এর বেশি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার কারীরা Microsoft Windows এর কোনো না কোনো ওএস ভার্ষন (OS version) ব্যবহার করেন।

Apple IOS – Apple IOS (iPhone OS) হলো এমন একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যেটা তৈরি করেছে apple inc. এই OS গুলো শুধুমাত্র apple iPhone মোবাইলে ব্যবহার করা হয়।

Apple macOS – কম্পিউটার বা ল্যাপটপে এই Apple mac OS গুলো ব্যবহার করা হয়। Microsoft Windows এর পরে দ্বিতীয় বেশি পরিমানে ব্যবহার করা হয় Desktop OS গুলোতে।

Google Android OS – স্মার্টফোন গুলোতে এই Google Android OS ব্যবহার করা হয়। এবং এটা অনেক জনপ্রিয়।

Linux operation system – Windows, Mac OS, IOS এর মতো Linux ও একটি operation system. আপনি চাইলে নিজের কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন গুলোতে এটা ব্যবহার করতে পারবেন। এটার ব্যবহার সম্পর্নভাবে ফ্রি।

আজকে আমরা কি শিখলাম

তাহালে, বন্ধুরা আজকে আমরা জানলাম অপারেটিং সিস্টেম কি (What is operation system)?. এবং এর ব্যাপারে আরো অনেক কিছু। আমার লেখা আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লাগে, তাহালে অবশ্যই কমেন্টে জানিয়ে দিবেনন।

Leave a Comment

Share via
Copy link
Powered by Social Snap