পরীক্ষার হল এ দ্রুত লেখা শেষ করার ৫ টি কৌশল 2022

আমরা পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে বলি ইশ যদি আর একটু সময় পেতাম! এমন আফসোস আমরা সবাই করি। কিন্ত আমাদের মনে রাখতে হবে টাইম ম্যানেজমেন্ট করাও পরীক্ষারই একটি অংশ। ভালো পরীক্ষার পিছনে তোমার প্রস্তুতির উপর ৫০% এবং তুমি কোন strategy অনুসারণ করছো তার ভূমিকা থাকে বাকি ৫০%। এজন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কীভাবে সব লেখা শেষ করা যায় চলুন সেই বিয়ষে ৫ কৌশল জেনে নেই।

পরীক্ষার হল এ দ্রুত লেখা শেষ করার ৫ টি কৌশল

(১) মনে রাখবেন পরীক্ষার প্রথম ৫ মিনিট খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই পাঁচ মিনিট সময় নিবেন শুধু প্রশ্ন পড়ার জন্য। অনেকের এমন অনেক বার ঘটেছে যে প্রশ্নে ছোট করে লেখা আছে সাতটি প্রশ্ন থেকে যেকোনো পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। কিন্ত সেটি আপনি না খোয়াল করে সাতটি প্রশ্নের সব কয়টির উত্তর দিয়ে দিলেন। এতে আপনার সময় এবং শ্রম অপচয় হয়েছে। এজন্য প্রশ্ন পড়ার ক্ষেএে কোনো ভাবে অবহেলা করা চলবে না।

এজন্য আপনাকে তিনটি কাজ করতে হবে-

  • কয়টি প্রশ্নের মধ্যে কয়টির প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে সেটি মনে মনে যাচাই করে নিতে হবে।
  • কোন প্রশ্ন গুলো তোমার জন্য কঠিন এবং কোন প্রশ্ন গুলো কঠিন সেটি মনে মনে ধারণা করে নিতে হবে।
  • প্রশ্ন এমন ভাবে পড়তে হবে যেন দ্বিতীয়বার আর পড়া না লাগে।

(অনেক পরীক্ষায় প্রশ্নে উল্লেখ থাকে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ, এক্ষেএে আপনি পেনসিল দিয়ে দাগিয়ে নিতে পারবেন)

(২) তোমার প্রশ্ন পড়া শেষ হলে মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে কীভাবে কী লিখতে হবে সেই ব্যাপারে। এর জন্য সময় ভাগ করে নিতে হবে। মনে করো, তোমাকে সাতটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আড়াই ঘন্টায় বা ১৫০ মিনিটে। এক্ষেএে আপনি প্রতিটা প্রশ্নের জন্য ২০ মিনিট করে সময় পাবেন। আর বাকি ১০ মিনিট প্রথমে ৫ মিনিট এবং পরের ৫ মিনিট লেখা রিভিশন দেওয়ার জন্য রাখতে হবে।

অবশ্যই পড়ুন – শিক্ষার্থীদের যে ৫ টি অ্যাপস ব্যবহার করা উচিত

এমন ভাবে তোমার পরীক্ষার নিদিষ্ট সময় ভাগ করে নিতে হবে। মনে রাখবেন শুধু সময় ভাগ করলে চলবে না সেটিকে সঠিক ভাবে মেনে প্রত্যেকটি প্রশ্নের সঠিক ভাবে উত্তর দিতে হবে। আমরা অনেকে প্রথম প্রশ্নের উত্তর অনেক সুন্দর করে যন্ত করে লিখি আর শেষে এসে লেখায় ঝড় তুলি। এতে করে আপনার লেখাটি বুঝতে কষ্ট হয়ে যায়।

(৩) যে প্রশ্নটি তোমার সহজ মনে হবে সেটা প্রথমে লিখতে হবে। কারণ সেটার উত্তর লিখতে কম সময় লাগবে। এজন্য সহজ প্রশ্নের উত্তর গুলো প্রথমে লিখতে হবে। এর ফলে তোমার নিজের প্রতি আত্ববিশ্বাস তৈরি হবে। তাছাড়া যে টিচার তোমার খাতা দেখবে তার মনেও তোমার প্রতি ভালো ধারণা তৈরি হবে। সহজ প্রশ্নের উত্তর গুলো দ্রুত শেষ হয়ে গেলে কঠিন প্রশ্ন গুলো চিন্তা ভাবনা করে লিখতে পারবেন।

(৪) পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই। তবে, আমরা লিখে অনুশীলন করি কয় জন। না লেখার ফলে আমাদের লেখার গতি অনেক কমে যায়। এছাড়া একটানা দীর্ঘ সময় লেখার জন্য অনেকের হাত ব্যাথা করে। আবার অনেকের লেখার লাইন রেল লাইনের মতো বেঁকে যায়। পরীক্ষার সময় অল্প সময়ে তাড়াহুড়ো করে লিখতে গিয়ে আমাদের উপর আরো বেশি চাপ তৈরি হয়ে যায়।

কিভাবে ইংরেজি হাতের লেখা সুন্দর করবো

অনেক সময় দেখা যায় প্রশ্নের উত্তর জানা আছে কিন্ত সঠিক ভাবে লিখতে পারছেন না। এজন্য আমরা যখন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিবো তখন কষ্ট করে একটি লেখার অনুশীলনও করবো। তাহালে আমাদের হাতের লেখা সুন্দর এবং আরো দ্রুত হবে। তাছাড়া পয়েন্ট গুলোও আরো ভালো ভাবে মনে থাকবে।

(৫) পরীক্ষার হলে কোনো ভাবেই উদ্বিগ্ন হওয়া যাবে না। আপনি প্রশ্ন নিয়ে দুশ্চিন্তা করলেন তে হেরে গেলেন। অনেক সময় দেখা যায় প্রশ্নের উত্তর ঠিক মতে মিলাতে না পারলে মাথা গরম হয়ে যায়। তখন বাকি প্রশ্ন গুলোর উত্তরও খারাপ হতে থাকে। তুমি একটি ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করো একটি প্রশ্নের উত্তর নিয়ে তুমি যে দুশ্চিন্তা করে যে সময়টা নষ্ট করলে সেই সময়ে তুমি আরো বেশি পাঁচ লাইন লিখতে পারতে। তাই সর্বদা – Keep calm & Stay cool.

 নিত্য নতুন তথ্য জানতে আমাদের এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন

Leave a Comment

Share via
Copy link
Powered by Social Snap