স্মার্ট ওয়াচ এর সুবিধা | smart watch

আপনি হয়তো এখনো জানেন না স্মার্ট ওয়াচ কি এবং স্মার্ট ওয়াচ এর সুবিধা গুলোর সম্পর্কে। আর যদি না জেনে থাকেন তাহালে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। (smart watch price in bangladesh)

বর্তমানে আমরা আমাদের স্বাস্থ্য এবং শারিরিক অবস্থা সম্পর্কে জানার জন্য নির্ভর হয়ে পড়েছি প্রযুক্তির উপর। আর এই প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে স্মার্টফোনের পরে যে আবিষ্কার মানুষের মনে জায়গায় করে নিয়েছে তা হলো স্মার্ট ওয়াচ।

তাই আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানবো স্মার্ট ওয়াচ মানে কি এবং স্মার্ট ওয়াচ এর সুবিধা গুলো কি কি। চলুন তার আগে জেনে নিবো স্মার্ট ওয়াচ কি?

স্মার্ট ওয়াচ কি? (what is smart watch in bangla)

স্মার্ট ওয়াচ হলো একটি উন্নত মানের মিনি কম্পিউটার ডিভাইস বা গণকযন্ত্র যা দেখতে হাত ঘড়ির মতো। এটা দেখতে হাড় ঘড়ির মতো হলেও এটাতে সময় দেখার পাশাপাশি আরো নানা রকমের কাজ করতে পারবেন।

আপনি প্রত্যেকটি স্মার্ট ঘড়ির সাথে পাবেন মিনি কম্পিউটার সিস্টেম। এই সিস্টেম গুলোর মাধ্যমে ডিভাইসটি স্বয়ংক্রিয় ভাবে তথ্য গ্রহন করে বিশ্লেষণ করে পরে ফলাফল জানায়।

ইন্টারনেটের সাহায্যে আপনি এই স্মার্ট ঘড়িতে সময় দেখার পাশাপাশি গান চালাতে পারবেন। এছাড়া ক্যালকুলেটর, থার্মোমিটার, কম্পাস সহ আরো অনেক কিছু ব্যবহার করতে পারবেন।

এই যন্ত্রকে আপনি খুব সহজে নিজের স্মার্টফোনের সাথে সংযুক্ত করতে পারবেন ব্লুটুথ (bluetooth) এর মাধ্যমে। ফোনের সাথে যুক্ত করার পরে স্মার্ট ওয়াচ থেকে খুব সহজে ইনকামিং  কল, মেসেজ সহ নানা ধরনের বিষয় গুলো জানতে পারবেন।

এই স্মার্ট ওয়াচ গুলো দেখতে খুবই আকর্ষনীয় হয় যা আমাদের সকলের পছন্দ হবে। তাছাড়া বিভিন্ন রং এবং সাইজে পেয়ে যাবেন।

স্মার্ট ওয়াচ এর সুবিধা গুলো কি কি?

মানুষের ব্যাস্ত জীবনের সাথে পাল্লা দিয়ে ক্রামে ক্রামে বাড়ানো হচ্ছে স্মার্ট ওয়াচ এর সুবিধার লিস্ট গুলো। নেক্সট মার্কেট ইনসাইটস গবেষণা করে বলেন স্মার্ট ঘড়িতে অনেক সম্ভাবনা দেখছেন তারা।

তারা আশা করেন ২০১৪ সালে ১৪ মিলিয়ন থেকে ২০২০ সালের শেষে ৩৭৩ মিলিয়ন হওয়ার কথা। statista এর হিসাব অনুযায়ী ২০২৩ সালের মধ্যে ১৩০ মিলিয়ন এর বেশি বিক্রি হতে পারে।

তাহালে চলুন নিচে থেকে জেনে আসি স্মার্ট ওয়াচের সুবিধা গুলোর ব্যাপারে।

সময় দেখার সুবিধা

আমরা সবাই জানি স্মার্ট ওয়াচ এর মাধ্যমে আমরা সময় দেখতে পাবো। কিন্ত বর্তমানের স্মার্ট ঘড়িতে আমরা সময় দেখার পাশাপাশি স্পটওয়াচ, অ্যালার্ম টাইমারের কাজ করে থাকে।

তাছাড়া এই ঘড়ি গুলোতে স্পিকার লাগানো থাকে না যার ফলে ভাইব্রেশনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে সঠিক সময় জানিয়ে দিবে।

স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা

স্মার্ট ওয়াচের সব থেকে বড় সুবিধা হলো স্বাস্থ্যসেবা তথ্য প্রদান করা। এই ঘড়িতে বিভিন্ন রকমের ফিটনেস ট্র্যাকার লাগানো আছে যেমন

  • পেডোমিটার
  • হার্ট-রেট মনিটর
  • ব্লাড প্রেসার মনিটর
  • স্লীপ মনিটর
  • ফিজিক্যাল এক্টিভিটি ট্র্যাকার

কল / মেসেজ এর সুবিধা

এই smart watch এর মাধ্যমে আপনি মোবাইলের কল ধরতে পারবেন এবং মেসেজ গুলো চেক করতে পারবেন।

ন্যাভিগেনশনের সুবিধা

এই ন্যাভিগেনশনের ফলে আপনাকে রাস্তায় চলাচল করার জন্য স্মার্টফোন ঘেঁটে ঘেঁটে রাস্তা খুঁজে বের করতে হবে না। আপনার ঘড়িতে যে ভাইব্রেশন দেওয়া আছে সেটার মাধ্যমে আপনি সংকেত পেয়ে যাবেন।

গান চালানোর সুবিধা

বর্তমানের স্মার্ট ওয়াচ গুলো স্মার্টফোন ছাড়া গান চালাতে সক্ষম। এর জন্য ব্যবহারকারীকে স্মার্টফোনের সাথে স্মার্ট ঘড়ির সংযোগ করে ফোনের গান বাজাতে পারবে।

গাড়ি চালানো সুবিধা

একটি স্মার্ট ওয়াচ এর সাহায্যে আপনি জানতে পারবেন কত কিলোমিটার গতিতে আপনি গাড়ি চালাচ্ছেন। এই সব কিছু স্মার্টফোনের মাধ্যমে আপনার ঘড়িতে দেখাবে।

কেন ব্যবহার করবেন স্মার্ট ওয়াচ?

আপনি কোথাও ঘুরতে গেলে আপনার রাস্তা ঘাট অনেক সহজে চিনতে পারবেন। কারণ এই smart Watch মোবাইলের সাথে যুক্ত হয়ে লোকেশন বের করে আপনাকে রাস্তা ঘাট চিনতে সাহায্য করবে।

আপডেট মডেলের স্মার্ট ঘড়িতে ইমারজেন্সি কল এবং ফল ডিটেকশন ফাস্কশন থাকে, যার মাধ্যমে আপনি যদি কোথাও বিপদে পড়লে আপনার আত্মীয় স্বজনরা সাথে সাথে খবর পান।

স্মার্ট ওয়াচ এমন একটি আধুনিক স্বয়ংসস্পর্ন যন্ত্র যার মাধ্যমে আপনার শরীরে খেয়াল রাখা থেকে শুরু করে বাহিরের জগৎতের সাথে যোগাযোগ করতে সাহায্য করবে।

স্মার্টফোন ব্যবহার করাটা আমাদের একটা নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে আমাদের ব্যাক্তিগত জীবনে অনেক সমস্যা তৈরি হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি যদি স্মার্ট ওয়াচের সাথে নিজের ফোন যুক্ত করতে পারেন তাহালে মোবাইলের নেশা থেকে দুরে রাখবে।

স্মার্ট ওয়াচ এর ইতিহাস (history of smart watch)

সেই ২০ শতাব্দী থেকে আরম্ভ করে কম্পিউটার যন্ত্র ছোট ছোট হতে হতে ক্যালকুলেটর সহ নানা ধরনের পরিবর্তন এসেছে এবং এই যুগে স্মার্ট ওয়াচ। 

Casio ১৯৯৯ সালে easy rec নামে এক ধরনের বিশেষ ঘড়ি তৈরি করেন। এই ঘড়ির বৈশিষ্ট্য ছিলো ৩০ সেকেন্ড পরে পরে অডিও মেমো রেকর্ড করতে পারতো।

Microsoft spot প্রথম ২০০৪ সালে স্মার্ট ওয়াচ আবিষ্কারের দাবী উল্লেখ করেন। এর পরে স্মার্ট ঘড়ি ডেভেলপ করার সাথে সাথে সারা বিশ্বে এর চাহিদা বৃদ্ধি পায়।

এর পর ২০১০ সালে সাধারণ মানুষের ব্যবহার করার জন্য বাণিজ্যিক ভাবে বাজারে আসে এই স্মার্ট ওয়াচ গুলো। ডিজাইনের দিক থেকে এই ঘড়ি গুলো বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে এবং এগুলো সব টার্চস্কিন (touchscreen) হয়ে থাকে।

আমার শেষ কথা

তাহালে বন্ধুরা আজকে আমরা জানলাম স্মার্ট ওয়াচ কি এবং স্মার্ট ওয়াচ এর সুবিধা গুলোর সম্পর্কে। আশাবাদী আমার লেখা আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লাগছে।

Leave a Comment

Share via
Copy link
Powered by Social Snap