অনলাইনে (NID) ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম

আপনি Nid কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চান তাহালে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আজকে আমরা জানবো কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে। আপনি বাড়ি বসে অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পএ সংশোধন করতে পাবেন।

আবার আপনি যদি চান ইউনিয়ন পরিষদে বা উপজেলা নির্বচন অফিসে গিয়ে NID কার্ড সংশোধন করতে পারবেন। তাহালে চলুন নিচে থেকে জেসে আসি ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য পরিবর্তন বা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম (National id card correction)

আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন বা জাতীয় পরিচয়পএ যাচাই করতে পারবেন। কারও যদি NID কার্ডে ভুল তথ্য থাকে তাহালে সেটা পরিবর্তন বা সংশোধন করতে পারবেন। 

আপনি যদি এনআইডি কার্ড এর তথ্য সংশোধন করতে চান তাহালে নিচের প্রক্রিয়া গুলো অনুসারণ করুন।

ন্যাশনাল আইডি কার্ড সংশোধন (National id card correction)

যেকেউ বাংলাদেশের জাতীয়া পরিচয়পএের তথ্য পরিবর্তন করতে পারবে, এই প্রক্রিয়াটি বাংলাদেশ সরকার ও ইলেকশন কমিশন (EC) অনলাইন প্রক্রিয়া আনার জন্য সহজ করে দিয়েছেন।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের যে সমস্ত বিষয় গুলো সংশোধন করতে পারবেন সেগুলো হলো – 

  • ব্যাক্তিগত তথ্য পরিবর্তন
  • ঠিকানা পরিবর্তন
  • ভোটার এলাকা পরিবর্তন
  • ছবি পরিবর্তন
  • ভোটার আইডি কার্ড রিপ্রিন্ট

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড এর তথ্য বা ছবি সংশোধন এর নিয়ম

অনলাইনে nid কার্ডের তথ্য পরিবর্তন করতে হলে আপনাকে বাংলাদেশ এনআইডি ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রথমে রেজিস্টার করতে হবে। আপনার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে এই লিংকে ক্লিক করে রেজিস্টার করুন। তারপরে ওয়েবসাইটে লগইন করুন।

লগইন করার পরে আপনাকে nid website এব হোম পেজে নিয়ে যাবে। হোম পেজের উপরে profile এ ক্লিক করুন। প্রোফাইল এ ক্লিক করার পরে আপনার ব্যাক্তিগত তথ্য যেমন- নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ, জন্মস্থান, পিতা-মাতার নাম ইত্যাদি তথ্য দেখতে পাবেন।

এবার উপরের ডানদিকে এডিট (edit) নামের একটি অপশন দেখতে পাবেন। এই Edit অপশনে ক্লিক করার পরে আপনাকে জাতীয় পরিচয়পএ তথ্য সংশোধন করার জন্য প্রযোজ্য চার্জ কা ফি এর তথ্য প্রদর্শিত হবে।

সেখান থেকে বহাল বাটুনে ক্লিক করলে আপনাকে edit অপশনে নিয়ে যাবে। এখানে আপনার সকল তথ্য পুনোরায় দেখতে পাবেন। মনে রাখবেন, প্রতিটা বক্স (box) এ ক্লিক করলে বক্সটি টিক মার্ক যুক্ত হবে এবং ঔ টিক মার্ক করা বক্সের তথ্য এডিট করা যাবে।

এই বক্স গুলো থেকে আপনি নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, পিতা-মাতার নাম, রক্তের গুরুপ ইত্যাদি সংশোধন করতে পারবেন। যে তথ্য গুলো সংশোধন করতে চান সেগুলোর পাশে থাকা বক্স টিক মার্ক দিন এবং তথ্য গুলো এডিট করুন। সঠিক তথ্য দেওয়া পরে উপনে ডান দিকে থাকা পরবর্তী বাটুনে ক্লিক করুন।

পরবর্তী বাটুনে ক্লিক করার পরে আপনাকে নতুন পেজে নিয়ে যাওয়া হবে। এই পেজে আপনি যে তথ্য গুলো সংশোধন করেছেন সেগুলো দেখানো হবে। এবার উপরে থাকা পরিবর্তী বাটুনে ক্লিক করলে ট্রানজেকশন পেজে নিয়ে যাওয়া হবে।

এই পেজে আপনাকে যে সকল তথ্য সংশোধন করেছেন তার জন্য কত টাকা চার্জ দিতে হবে সেটা দেখানো হবে। টাকা প্রদান না করা পর্যন্ত আপনি পরবর্তী অপশনে যেতে পারবেন না। এজন্য অবশ্যই আপনাকে চার্জ প্রদান করতে হবে।

যে সকল মোবাইল বা ডিজিটাল ব্যাংকির এর মাধ্যমে ফি প্রদান করা যাবে সেগুলো হলো – 

  • ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড এবং রকেট মোবাইল ব্যাংকিং।
  • ট্রাষ্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং টি-ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং।
  • ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড এবং ওকে ওয়ালেট মোবাইল ব্যাংকিং।
  • বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড।
  • ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।
  • মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংক লিমিটেড।

ফি প্রদান করার জন্য আপনার নিজের পছন্দ মতো মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপে প্রবেশ করে pay bill অপশনে যান। সেখানে গিয়ে 1000 লিখে সার্চ করলে EC Bangladesh অপশনটি চলে আসবে।

সেই অপশনটি সিলেক্ট করার পরে আপনাকে অন্য একটি পেজে নিয়ে যাবে। সেখানে NID কার্ড এর নম্বার দিতে হবে। এই nid কার্ড নম্বার এর জন্য পাঠানো টাকা ডিপোজিট হবে। এবার Application অপশনে ক্লিক করলে একটি সংখ্যা প্রদর্শিত হবে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সংখ্যাটি লিখুন।

এবার নিচে Pay For লেখাটি দেখতে পাবেন। এখানে আপনি যদি নিজের জন্য ফি প্রদান করেন তাহালে self এবং অন্যের জন্য ফি প্রদান করলে Other এ ক্লিক করুন।

সকল তথ্য সঠিক ভাবে পূরণ করার পরে Validate এ ক্লিক করুন এবং Ok বাটুনে ক্লিক করুন। এখানে যদি আপনাকে Biller Short Name নামের কোনো বক্স দেখায় তাহালে সেখানে আপনার নামের শর্টফর্ম লিখুন। এবার কত টাকা ফি প্রদান করতে হবে সেই তথ্য দেখতে পাবেন।

এবার মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট এর পিন দিয়ে প্রক্রিয়াটি সম্পর্ন করুন। সঠিক ভাবে প্রক্রিয়াটি শেষ হলে আপনি বিল এর একটি রিসিট পাবেন। এবার আপনি ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন পেজে ফিরে যান এবং রিলোড করুন তাহালে দেখতে পাবেন পরিশোধকৃত অর্থ দেখানো হচ্ছে।

এবার পরবর্তী পেজে ক্লিক করলে আপনাকে কাগজপত্র ট্যাবে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে আপনি তথ্যসমুহের ভ্যালিডেশন হিসাবে SSC পরিক্ষার সার্টিফিকেট বা জন্মসনদ এর স্ক্যানকৃত ডকুমেন্ট যুক্ত করবেন। তারপরে পরবর্তী বাটুনে ক্লিক করবেন।

এবার আপনাকে সংশোধন জাতীয় পরিচয়পএ এর সকল তথ্য গুলো দেখানো হবে। সব কিছু ঠিক রয়েছে কিনা সেটা চেক করে নিন। এবার উপরের ডানদিকে থাকা সাবমিট বাটুনে ক্লিক করুন। Profile এর নিচের দিকে আসলে বিস্তারিত তথ্য বাটুনে ক্লিক করলে নতুন একটি পেজে নিয়ে যাওয়া হবে।

এবার উপরে ডানদিকে থাকা ডাউনলোড বাটুনে ক্লিক করে পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করুন। আপনি PDF এর প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করুন। এবার আপনাকে পরবর্তীতে মোবাইলে SMS এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে কোথায় গেলে নতুন National id card টি পেয়ে যাবেন।

উল্লেখিত স্থানে আপনি PDF এর কপিটি জমা দিলে নতুন তথ্য যুক্ত নতুন ভোটার আইডি কার্ড টি পেয়ে যাবেন।

আজকে আমরা কি শিখলাম

তাহালে বন্ধুরা আজকে আমরা শিখলাম কিভাবে অনলাইনে (NID) ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে হয়। এনআইডি কার্ড সংশোধন বা হালনাগাদ সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে নির্বচন কমিশন এর এই ওয়েবসাইট থেকে জেনে আসতে পারবেন। আর আমার লেখাটি ভালো লাগলে শোয়ার করবেন।

1 thought on “অনলাইনে (NID) ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম”

Leave a Comment

Share via
Copy link
Powered by Social Snap